কলেজের গন্ডি পেরিয়েছি সবে, যদ্দুর স্মৃতি যায় - ১৯৯২, মাধবরাও সিন্ধিয়া তখন সিভিল অ্যাভিয়েশন মন্ত্রী, নরসিমহা রাও এর সময়কালের কথা বলছি, একটি বিমান দূর্ঘটনা হয়েছিল, তাতে বিমান ছাড়া অন্য কিছুর ক্ষয়ক্ষতি হয় নি, কিন্তু তিনি সেই দায় নিজে নিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন, এবং তা গৃহীত হয় । কিছু বিমান রাশিয়া থেকে লিজ নেবার সিদ্ধান্ত ও বাস্তবায়ন হয়েছিল সেই সময় । পদত্যাগের খবরে সেদিন অবাক যেমন হয়েছিলাম, ভালোও লেগেছিল, তখন আমার বয়স অভিজ্ঞতা সবই কম, তবু যেহেতু রাষ্ট্রবিজ্ঞানের তথ্য ও তত্ত্বের বাস্তব প্রয়োগ চাক্ষুষ করার একটা উৎসাহ তৈরি হচ্ছিল ভীষণভাবে সেই সময় .. তাই হয়ত সব মিলিয়ে এই পদত্যাগের ঘটনা আমাকে যেন নাড়া দিয়ে যায় । আমার স্মৃতিতে এই চিত্র এখনো টাটকা । একে চেহারার এমন ঝকঝকে করিশ্মা তায় এমন মূল্যবোধ.. সব মিলিয়ে মাধব রাও সিন্ধিয়া পদত্যাগ করেই যেন আরো স্পষ্ট হয়ে উঠলেন আমার কাছে । এরপর আবার ইউপিএ মন্ত্রীসভায় তাঁর গুরুত্বপূর্ণ পোর্টফোলিও হয়েছিল ..
কিন্তু জ্যোতিরাদিত্যের এই দলবদলের ঘটনায় নানা গুঞ্জনের পরিবেশে আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হচ্ছে ইয়েস ব্যাঙ্ক মালিকের সঙ্গে গৌরবে না হোক, দুর্নামে ফাঁসিয়ে বহুবচন করার গেম প্লানে কিছুটা মিথ্যে ভয়ও দেখানো হয় নি তো ? কিংবা দল ছাড়লে পুরষ্কার, কিন্তু যদি থেকেই যাওয়া হয় তবে 'লাইফ হেল' করে দেওয়ার মিষ্টি হুমকি ? দেওয়া হয় নি তো ? যবনিকার ওদিককার গল্পে তাই অন্ধকারই অন্ধকার..বিচক্ষণ পাঠক আমি আমার এতদিনের বিশ্লেষণ অভিজ্ঞতা থেকে আপনাদের মগজাস্ত্রে এই ভাবনা ইনপুট করলাম মাত্র । তবে যা হল তা কোনোভাবেই ভালো হল না, প্রজন্ম অতীতকে বলিষ্ঠ করে, সমাজ ও দেশের প্রত্যাশায় এই অভিঘাত অনভিপ্রেত ।
ছবি - সংগৃহিত