হরিপালে অনুষ্ঠিত হল গণবিবাহ

2nd February 2020 হুগলী
হরিপালে অনুষ্ঠিত হল গণবিবাহ


 নন্দরকুটি  এবং লাইন্স ইন্টারন্যাশনাল সংস্থার এর উদ্যোগে রবিবার  গণ বিবাহ অনুষ্ঠিত হলো হরিপালের নন্দ কুঠি এলাকায়। প্রত্যেক বছরে হয় এই গন বিবাহ অনুষ্ঠান। আনন্দে মেতে উঠে হরিপাল সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ। উৎসবের চেহারা নেয় এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে । ১৯ বছর ধরে চলছে এই গন বিবাহ। শুরু হয়ে ছিল মাএ ২৫ জোড়া নবদম্পতিকে নিয়ে, এবছর দাঁড়িয়েছে  ১০৮ জোড়ায়।রবিবার থেকে ১০৮ জন নতুন নব দম্পতির নতুন জীবন শুরু হলো। এবছর নিয়ে মোট ১৬০০ নব দম্পতির। শুধু তাই নয় নব দম্পতিদের নতুন সংসারের করতে যাবতীয় জিনিসপত্র এই সংস্থার পক্ষ থেকে  দেওয়া হয়। স্থানীয়  রাজনৈতিক নেতা থেকে হেভিওয়েট নেতা- নেত্রীরা  আমন্ত্রিত ছিলেন এই গণ বিবাহ অনুষ্ঠানে। উপস্থিত ছিলেন  হরিপাল বিধায়ক বেচারাম মান্না,  স্মিতা বক্সী,সঞ্জয় বক্সী,জেলা সভাপতি তথা উত্তরপাড়ার পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব সহ হাজির হন বিধায়ক নয়না দাস বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন মেয়েরা ফেনলা নয়। এরা যে কাজ করছেন এর থেকে বড়  সেবা  আর কিছু হতে পারে না।মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী রূপশ্রী প্রকল্প করে মেয়েদের মান  আগের তুলনায় অনেক গুন বাড়িয়েছন। বাংলার মেয়েদের খুব মান আছে। সদ্য পেশ হওয়া বাজেট প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তিনি তাঁর ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করে বলেন দিশাহীন এবং উন্নয়ন হীন বাজেট ।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।