বাড়ির রঙ সবুজ মেরুন : ভালোবাসার বাসা মোহনবাগান

21st November 2020 6:15 pm হুগলী
বাড়ির রঙ সবুজ মেরুন : ভালোবাসার বাসা মোহনবাগান


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : বাঙালির সেরা খেলা ফুটবল।তার উপর শুরু হয়ে গেছে আইএসএল।এরই মধ্যে শনিবার উত্তরপাড়া জেকে স্ট্রিটের বাদিন্দা তিলক বসু নতুন করে সবুজ মেরুন রঙে রাঙিয়ে ফেলেছে নিজের বাড়িকে।বাড়ির নাম দিয়েছে মোহনবাগান বাড়ি।মনেপ্রাণে মোহনবাগান ক্লাবের অন্ধ ভক্ত তিলক বাবু।মোহনবাগান ক্লাবের সাথে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক।ভারতের জাতীয় ক্লাব মোহনবাগানের বহু ইতিহাসের সাক্ষীও থেকেছেন তিনি । তিনি বলেন মোহনবাগানের খেলার টিকিটও বিক্রি হয় তার মোহনবাগান বাড়ি থেকে।কিছুদিনের মধ্যে মোহনবাগানের জেতা আইলিগ ট্রফি আসবে তার বাড়িতে বলে জানান মোহনবাগান ভক্ত।মোহনবাগানের প্রত্যেক খেলায় মাঠে বসেই খেলা দেখেন হাজির থাকেন।কিন্তু এবার করোনা আবহে আইএসএল হচ্ছে গোয়ায় মাঠে যাওয়া হচ্ছে না।তাই কিছুটা মন ভরাক্রান্ত।কিন্তু  আইএসএল খেলায় জয় দিয়ে শুরু করেছে এটিকে মোহনবাগান তাই আনন্দের সীমা নেই মোহনবাগান বাড়ির সদস্যদের।তিলক বাবু জানান মোহনবাগানের খেলার দিন এলাকার বাসিন্দাদের জন্য রাস্তায় বসানো হয় বড় টিভি।মোহনবাগান জিতলে চলে উৎসব। আর হারলে বন্ধ হয়ে যায় খাওয়া দাওয়া।তবে উত্তরপাড়ায় মোহনবাগান বাড়ি নিয়ে উচ্ছসিত হুগলী জেলার মোহনবাগান সমর্থকরা।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।