গজরাজের আক্রমণ থেকে রেহাই পেতে শুরু হয় গজলক্ষী র আরাধনা

30th October 2020 4:20 pm বাঁকুড়া
গজরাজের আক্রমণ থেকে রেহাই পেতে শুরু হয় গজলক্ষী র আরাধনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  কেটে গিয়েছে একশো বছরেরও বেশী সময়। আর ঐ সময়কালের আগে গজরাজের আক্রমণের হাত থেকে জমির ফসল বাঁচাতে বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় এলাকার জঙ্গল লাগোয়া রামকানালী গ্রামে শুরু হয়েছিল 'গজ লক্ষী'র পুজো। সেকারণে এখানে চিরাচরিত পেঁচা নয়, দেবী লক্ষী হাতির পিঠে উপবিষ্টা। মাঝের কিছু বছর হাতির আক্রমণ থেকে রক্ষা পেলেও গত কয়েক বছর ধরে ফের শুরু হয়েছে হাতির উপদ্রব। জমির ফসল বাঁচাতে হিমশিম অবস্থা ঐ গ্রামের মানুষের। আর তারপর চলতি বছরে  করোনা আবহের মধ্যেও গ্রামে পুজো হচ্ছে। তবে সেই আগের জৌলুস নেই। নিয়ম রক্ষার পুজো হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে গ্রামের মানুষ জানিয়েছেন।

জঙ্গল লাগোয়া গ্ৰাম গুলোতে হাতির উপদ্রব লেগেই রেয়েছে । জমির ফসল যেমন নষ্ট হয় তেমনি প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে । বেশ কিছুটা আতঙ্কের মধ‍্যেই থাকেন স্থানীয়রা । বর্তমানে বেড়েছে হাতির উপদ্রব লোকালয়ে । বনদপ্তরের নজরদারি সত্ত্বেও নানা সময় গজরাজ এসে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এলাকা । করোনা আবহের মধ‍্যে সাধ থাকলেও সাধ‍্য নেই বাসিন্দাদের । গজলক্ষীর আরাধনা কোনরকমে করতে হচ্ছে আর্থিক কারনেই । তবুও চিরাচরিত প্রথা মেনেই গজরাজের হামলা থেকে রক্ষা পেতে গজলক্ষী এসেছেন ঠাকুরদালানে । 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।