করোনা আবহের মধ‍্যে দলবদল অব‍্যাহত বাঁকুড়ায় : শক্তি বৃদ্ধি তৃণমূলের

16th August 2020 11:14 am বাঁকুড়া
করোনা আবহের মধ‍্যে দলবদল অব‍্যাহত বাঁকুড়ায় : শক্তি বৃদ্ধি তৃণমূলের


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর ২০২১ নির্বাচনের আগে তৃণমূল দলকে আরও শক্তিশালী করার জন্য এদিন কাঁটাদীঘি তৃণমূল দলীয় কার্যালয়ে  বেলুট রসুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান ফারুক মিদ্দার হাত ধরে ৪৫০ জন বিজেপি , কংগ্রেস , সিপিএম কর্মী তৃণমূলে যোগদান করলেন তার সাথে সাথে বেলুট রসুলপুর তৃণমূল কংগ্রেসের শক্তির প্রসার ঘটলো ।  সভায় উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া জেলা সংখ্যালঘু সেলর কার্যকরী সভাপতি শেখ আজফার হোসেন বেলুট রসুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ফারুক মিদ্দা সহ অন্যান্য বেলুট রসুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা । বেলুট রসুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বলেন গত ১২ ই আগস্ট বিজেপি রাজ্য সহ সভাপতি ও দলের তরফে বাঁকুড়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত অবজার্ভার রাজু ব্যানার্জীর হাত ধরে যে সংখ্যালঘু ভাইরা বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন তারাই আজ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন তিনি আরো বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের উন্নয়ন দেখে এবং ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর হাতকে শক্ত করার জন্য মানুষ আজ তৃণমূলের দলে দলে যোগদান করছে । সংখ্যালঘু সেলর বাঁকুড়া জেলা কার্যকারী সভাপতি আজফার হোসেন বলেন বর্তমান কেন্দ্রের যে অত্যাচারী সরকার সেই অত্যাচারী সরকারকে একটা মোক্ষম জবাব দেওয়ার জন্য আজকের দিনটিকে আমরা বেছে নিয়েছি কারণ বিজেপি কিছু সংখ্যালঘু ইয়াং ছেলেকে বিপথে চালিয়ে ভুল বুঝিয়ে নেশাগ্রস্ত করিয়ে তাদের দলে তারা যোগদান করেছিলেন আজ সেই ভাইদের আমরা সাদর আমন্ত্রণ নিজেদের দলে করে নিলাম । তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদানের বিষয়ে পাত্রসায়ের বিজেপির মন্ডল ২  সভাপতি তমাল কান্তি গুই বলেন এগুলি তৃণমূলের মিথ্যা যোগদান করানো কারণ মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা বুঝতে পেরেছে বিজেপি সরকার শুধু হিন্দুদের জন্য নয় তাই তারা বিজেপিতে যোগদান করছে তিনি আরো বলেন তৃণমূল সরকার বিজেপিকে অনুকরণ করে চলছে ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।